ফিঞ্চের রেকর্ডের দিনে অস্ট্রেলিয়া দুর্বার
সাউদাম্পটনে বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচটি যারা দেখেছেন তারা ভাগ্যবান। এ ফরম্যাটের সেরা ব্যাটিংটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তাদের। ২০ ওভার ম্যাচে একজনের ব্যাট থেকেই ১৫৬ রান আসাটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার-স্যাপার। কিন্তু মানুষের পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব, সেটা দেখিয়ে দিলেন অজি ব্যাটসম্যান অ্যারোন ফিঞ্চ। এদিন হয়ে উঠলেন অতিমানব। কিসের ক্রিস গেইল? ফিঞ্চের দানবীয় ব্যাটিং দেখে হয়তো নিজেকে একদমই ছোট ভাবছেন ক্যারিবিয়ান টি-টুয়েন্টি ব্যাটিং মাস্টার। প্রথম থেকে ১৭.২ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করে রান করলেন ১৫৬ (৬৩ বলে)। টি-টুয়েন্টির সর্বোচ্চ ইনিংসটা বিদ্যুত্গতিতে খেলে ফেললেন ২০১১ সালে টি-টুয়েন্টিতে অভিষিক্ত ফিঞ্চ। তার দানবীয় ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান দাঁড়াল ৬ উইকেটে ২৪৮। জবাবে ২০৯ রানে অল আউট স্বাগতিকরা। ৩৯ রানে ম্যাচ জিতে নিয়ে সেই সঙ্গে ১-০-তে সিরিজে এগিয়ে গেল অজিরা। গত ২০০ দিনে যেকোনো ফরম্যাটে এটা ছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জয়।
ফিঞ্চের করা অনেক রেকর্ডের দিনে অস্ট্রেলিয়ারও হল রেকর্ড। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এটা সর্বোচ্চ স্কোর। অবশ্য টি-টুয়েন্টিতে এখনও সর্বোচ্চ স্কোর করার কৃতিত্বটা রয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার দখলে। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২৬০ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা।
অ্যাশেজে ৩-০ ব্যবধানে হেরে বেশ কোণঠাসা ছিল অজিরা। তবে এদিন ফিঞ্চ ম্যাজিকে জেগে উঠল অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১ রানে ওয়ার্নার ফিরে গেলেও এতটুকু সাহস হারাননি ফিঞ্চ। ব্যাট হাতে যা করেছেন তা অসহায়ের মতো দেখতে হয়েছে ইংলিশ বোলারদের। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরির পর ২০১১-১২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভির করার ৪৫ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য তার পক্ষে কথা বলেনি। ৪৭ বলে পান ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা। সেঞ্চুরির পরও তৃষ্ণা মেটেনি ফিঞ্চের। দ্রুততম সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়তে না পারলেও টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেই (৬৩ বলে ১৪ ছক্কা ও ১১ চারে ১৫৬ রান) ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন তিনি। ১৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে করলেন সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ২০১২ সালে পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন ১২৩। ২৪৯ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার মিচেল জনসন ও জস হ্যাজেলউডের তোপে পড়ে ইংল্যান্ড। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও জো রুনের ৪৯ বলে ৯০ রানের সুবাদে ২০৯ পর্যন্ত যেতে পারে স্বাগতিকরা।
রেকর্ড গড়া ফিঞ্চ ম্যাচ শেষে বলেন, ‘এমন একটা ইনিংস খেলে ফেলব কখনও ভাবিনি। ব্যাটিং দারুণ সায় দিচ্ছিল। আমার লক্ষ্য এখন অস্ট্রেলিয়ান দলে নিয়মিত হওয়া।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ২০ ওভারে ২৪৮/৬ (ফিঞ্চ ১৫৬, শন মার্শ ২৮, ওয়াটসন ৩৭; ডার্নব্যাচ ৩/৩৪)। ইংল্যান্ড : ২০ ওভারে ২০৯/৬ (লাম্ব ২২, রুট ৯০* বোপারা ৪৫, বাল্টার ২৭; জনসন ২/৪১, হ্যাজেলউড ২/৪৩)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৩৯ রানে জয়ী। সিরিজ : অস্ট্রেলিয়া ১-০তে এগিয়ে। পরের ম্যাচ : আজ, চেস্টার লি স্ট্রিট।
বৃষ্টিতে ড্র ঢাকা টেস্ট
- সিরিজের একটা নিষ্পত্তির জন্য মুখিয়ে ছিল দুই দল। কিন্তু বৃষ্টির বাধায় ধুয়ে মুছে গেল ঢাকা টেস্টের ...
‘বিশ্বকাপে নেইমারই ব্রাজিলের বাজি’
- চলতি বছর ঘরের মাঠে ফিফা কনফেডারেশন কাপ নেইমারের জন্য একটা বড় পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় ‘জিপিএ ...
‘ড্রাগসের সঙ্গে আপস নয়’
- স্প্রিন্ট জগতে যখন নামি-দামি তারকাদের ডোপপাপের খবর বেরোয় তখন চমকে উঠতে হয় বৈকি! এই তো সেদিন ...
প্রথম ওয়ানডেতে সালমাদের হার
- দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল স্বাগতিকদের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে হেরে গেছে। বেনোনির ...
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ মানেই ম্যাজিক
- ব্যাপারটা শচীন বনাম লারার লড়াইয়ের মতোই দাঁড়িয়ে গেছে। কে সেরা-লারা নাকি শচীন। এ প্রশ্নে রায় এখনও ...
