কাঠমান্ডুর স্টেডিয়ামকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর চেষ্টা
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর চেষ্টা চলছে। রং-টং দিয়ে রঙিন বলতে পারেন। যদিও রঙ্গশালার নেপালের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হলেও ততটা আধুনিক হয়ে উঠতে পারেনি। মোটামুটি বলতে পারেন। শহরের একটি বড় অংশই আজ বুঁদ হয়ে থাকবে রঙ্গশালার এ স্টেডিয়ামের দিকে।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার ‘বিশ্বকাপ’ হিসেবে পরিচিত সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। আর প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে স্বাগতিক নেপাল। ১১ জনের বিপক্ষে ১১ জন। কিন্তু বাংলাদেশ শুধু ১১ জনের বিপক্ষে খেলবে না, প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে প্রায় হাজার বিশেক সমর্থক! যারা ৯০ মিনিট শুধু চিত্কার-চেঁচামেচিই করবেন না, প্রয়োজনে ইট-পাথর মারতেও ভুল করেন না। এ পরিস্থিতিতে অনেকটাই অভিজ্ঞ এমিলি-মামুনুলরা। এই তো গেল মার্চে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাই পর্বে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল নেপালকে।
এছাড়া রেকর্ড কিন্তু বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছে। ১৯৮৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দু’দলের মধ্যে ১৮টি ম্যাচ হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের জয়ের পাল্লা ভারি। ১১টিতে জয় এসেছে। হারতে হয়েছে পাঁচটি ম্যাচে। আর অমীমাংসিত থেকেছে দুটি ম্যাচ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রেকর্ড-টেকর্ডের ধার ধারছেন না কেউ। বাংলাদেশের ডাচ কোচ ডি ক্রুইফ তো বলেই দিয়েছেন, ‘চ্যালেঞ্জ কাপে কী হয়েছে তা ভাবলে চলবে না। ওই ম্যাচ আমরা জিতেছিলাম ঠিকই, কিন্তু আবার ৪-২ গোলে ম্যাচ হারলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না।’
নেপালের বিপক্ষে পুরো দলকে পাওয়া কঠিন। ইনজুরির কারণে অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের খেলার সম্ভাবনা কম। ২০ জনের দলে অভিষেকের অপেক্ষায় একাধিক। এই প্রথম প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে ডেনমার্কের জামাল ভুইয়ার অভিষেক হতে যাচ্ছে। সঙ্গে ওয়াহেদ, ওমর ফারুক বাবু, রায়হান ও মোবারক তো আছেনই। একাধিক খেলোয়াড়কে মাঠে নামতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বাংলাদেশ কি পারবে নেপালের বিপক্ষে জিততে? ডাচ কোচ কাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আগের মতোই কথা বলে গেলেন। হয়তো তার এটা পরিকল্পনা হতে পারে। আগে থেকে শিরোপা জয়, কিংবা ফাইনাল খেলব; এ জাতীয় কথা বলে খেলোয়াড়দের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছেন না। যা কিছু আছে তা মনে মনে। চাপমুক্ত হয়ে খেলা আর কী।
ক্রুইফের তাই উত্তর, ‘এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং প্রশ্ন হয়ে গেল। মাঠে নামার আগে শিরোপা জিতব, এ জাতীয় কথা বলার সময় আসেনি। হ্যাঁ, এটা ঠিক আমরা এখানে এসেছি কিছু অর্জন করতে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, আমরা এ আসরে ফেভারিট নই। যেমন ভারত-আফগানিস্তান, হতে পারে স্বাগতিক নেপাল। তবে আমরা দু’মাস ধরে অনুশীলন করে আসছি। মুখিয়ে আছি বলতে পারেন-দল কেমন খেলে, তা দেখার জন্য। আমি আত্মবিশ্বাসী-দল ভালো খেলবে।’
ইনজুরিগ্রস্ত দল নিয়ে শঙ্কা কম নয়। ডাচ কোচ বিষয়টি মেনেই বলেছেন, ‘মামুনুল এখনও ইনজুরির সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন। সে শতকরা ৮০ ভাগ ফিট। তবে আমি শতভাগ ফিট না থাকলে কোনো খেলোয়াড়কে খেলানোর পক্ষপাতি নই। সেটা শারীরিক বা মানসিক দুই দিক দিয়েই। একাদশের বাইরে আমার তো আরও ভালো খেলোয়াড় আছে। তাদের নিয়েও ছক কষে রেখেছি।’
নেপালের পোলিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান কোচ জ্যাক স্টেফোনস্কি কথা বলেছেন আরও সাবধানী ভঙ্গিতে। প্রথম ম্যাচ নিয়ে তার কথা, ‘সাফ খেলছি নিজেদের মাঠে। এটা অনেক বড় সুযোগ। হাজারো সমর্থক আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এটি তো অনেক বড় সুবিধা।’
তারপর বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এল, ‘গ্রুপিং হওয়ার পর প্রতিটি দল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সবার বিপক্ষে আমরা ভালো খেলতে চাই। যা মাঠে প্রমাণ হবে। আমাদের প্রস্তুতি ভালো। দেশে ও দেশের বাইরে প্রস্তুতি ম্যাচ একাধিক হয়েছে। দলে নতুন ছয়জন আছেন। সবাই এখন আত্মবিশ্বাসী।’
অধিনায়ক সাগর থাপা চ্যালেঞ্জ কাপের প্রতিশোধ প্রসঙ্গ উঠতেই বললেন-‘দেখুন, প্রতিশোধের কথা ভাবছি না। আমাদের চিন্তা হল-সাফের শীর্ষস্থানে যেতে হবে। আর এজন্য প্রথম ম্যাচ জেতাটা বেশ জরুরি। আগের ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নেওয়া হয়েছে। এখন মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষায়।’
তাহলে প্রথম ম্যাচের ফলের অপেক্ষায়!
বৃষ্টিতে ড্র ঢাকা টেস্ট
- সিরিজের একটা নিষ্পত্তির জন্য মুখিয়ে ছিল দুই দল। কিন্তু বৃষ্টির বাধায় ধুয়ে মুছে গেল ঢাকা টেস্টের ...
‘বিশ্বকাপে নেইমারই ব্রাজিলের বাজি’
- চলতি বছর ঘরের মাঠে ফিফা কনফেডারেশন কাপ নেইমারের জন্য একটা বড় পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় ‘জিপিএ ...
‘ড্রাগসের সঙ্গে আপস নয়’
- স্প্রিন্ট জগতে যখন নামি-দামি তারকাদের ডোপপাপের খবর বেরোয় তখন চমকে উঠতে হয় বৈকি! এই তো সেদিন ...
প্রথম ওয়ানডেতে সালমাদের হার
- দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল স্বাগতিকদের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে হেরে গেছে। বেনোনির ...
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ মানেই ম্যাজিক
- ব্যাপারটা শচীন বনাম লারার লড়াইয়ের মতোই দাঁড়িয়ে গেছে। কে সেরা-লারা নাকি শচীন। এ প্রশ্নে রায় এখনও ...
