ফুটবলারদের তীর ট্রেনারের দিকে
দ্বিতীয় দিনে কাল জাতীয় দলের চারজন খেলোয়াড় এলেন। একে একে সবাই নিজেদের জবানবন্দি দিয়ে গেলেন তদন্ত কমিটির সামনে। ওখানে যা বলেছেন তার অনেকটাই পরবর্তী সময়ে মিডিয়ার সামনে এসে বলতে কার্পণ্য করেননি মামুনুল-ওয়ালী-মিশু ও এমিলি।
আগের দিন যেমন ট্রেনার জামালি খেলোয়াড়দের ওপর অনেকটা দোষ চাপিয়েছিলেন, কাল ঠিক উল্টোটি হল। খেলোয়াড়দের বড় অংশই এবার তার সমালোচনায় পঞ্চমুখ। তার ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পদ্ধতি নিয়ে নানানভাবে বিশ্লেষণ হয়েছে। এমন কথাও এসেছে-ফিটনেস ট্রেনারের যথাযথ জানাশোনার অভাবে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাফে ব্যর্থ হতে হয়েছে একের পর এক।
ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল বাইরে এসে বললেন, ‘দুই মাসে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। কঠিন অনুশীলন। কিন্তু এরপর যে রিকোভারি করতে হবে তার পর্যাপ্ত সময় পাইনি আমরা। এছাড়া ফিজিক্যাল ট্রেনারের পারফরম্যানন্স নিয়েও প্রশ্ন আছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সময় একই ধরনের ট্রেনিং করিয়েছেন ট্রেনার জামালি। যার যতটুকু দেওয়ার সামর্থ্য, অনেক ক্ষেত্রে বেশি চাপ দিয়ে তা আদায় করার প্রবণতা ছিল। যে কারণেই দলে ইনজুরির সংখ্যা একাধিক ছিল।’
তুরস্কের বংশোদ্ভূত এ ডাচ ফিজিক্যাল ট্রেনারের সামর্থ্য নিয়েও কম কথা ওঠেনি। তবে শুধু তার ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতার আড়াল করতে চান না এ ডিফেন্ডার। তার কথা, ‘ফল বাজে হওয়ার পেছনে আমাদেরও দায়ভার আছে।’ আরেক ডিফেন্ডার আতিকুল রহমান মিশু বললেন, ‘ব্যর্থতার দায় শুধু ফুটবলারদের ওপর দিলেই হবে না। এ দায়ভার সবার নিতে হবে। মূলত ফিজিক্যাল ট্রেনারের কারণে দলের এ হতশ্রী অবস্থা। দুই মাসে একই ধরনের অনুশীলন হয়েছে। ট্রেনিংয়ে খুশি ছিল না ফুটবলাররা। আমি তদন্ত কমিটির কাছে এটাই বলেছি।’ তার আরও কথা, ‘জামালি নিজের কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখানে মূল কোচের কোনো দোষ দেখছি না। তার কোচিং পদ্ধতি ভালো। তবে আমরা তা হয়তো মাঠে প্রয়োগ করতে পারিনি।’
অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম আর্জি জানিয়েছেন, ‘আমি সবার উদ্দেশে বলছি, দোষারোপ করা বন্ধ করুন। যতক্ষণ এ ধরনের দোষারোপ করা বন্ধ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের ফুটবল এগোবে না। যা কিছু আমরা হারিয়েছি তা এখন অতীত। আমাদের উচিত সামনের সাফের দিকে এখনই দৃষ্টি দেওয়া।’ সাফ ব্যর্থতার কারণ হিসেবে এ মিডফিল্ডার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘মূলত ইনজুরি সমস্যা আমাদের ভুগিয়েছে। তারপর দুর্ভাগ্য বলতে পারেন। এসব কারণে দল শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি। আমি ইনজুরি নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। যতদূর পেরেছি নিজের সেরাটুকু দিয়েছি। হয়তো পুরো ম্যাচ খেলতে পারতাম। তবে ৯০ মিনিট এক তাললয়ে খেলা হতো না। সেটা ৫০-৫০ হয়ে পড়ত। দল একঅর্থে ১০ জন হয়ে যেত।’ এ মিডফিল্ডার আরও যা বললেন, ‘শোনা যাচ্ছে ফুটবলাররা নাকি পা বাঁচিয়ে খেলেছে, এটা মোটেও সত্য নয়। আমার কথা বলতে পারি, আমি ব্যথা নিয়ে খেলেছি। ম্যাচে নামার আগে ইনজেকশন পুশ করতে হয়েছিল। ফিজিক্যাল ট্রেনারের বিরুদ্ধে আমি কোনো কিছু বলতে চাই না। ওয়ালী-মিশু যা বলেছে তা তাদের ব্যক্তিগত মতামত। আমি ওদের এসব কথার সঙ্গে একমত নই।’
জাতীয় দলের স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলিও সাফের ব্যর্থতা ভুলে আগামীর পথে দৃষ্টি দিতে চাইছেন। আজ তদন্ত কমিটির সামনে দেশসেরা দুই কোচ মারুফুল হক ও সাইফুল বারী টিটু উপস্থিত হচ্ছেন। এছাড়া থাকছেন শেখ রাসেলের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীও।
বৃষ্টিতে ড্র ঢাকা টেস্ট
- সিরিজের একটা নিষ্পত্তির জন্য মুখিয়ে ছিল দুই দল। কিন্তু বৃষ্টির বাধায় ধুয়ে মুছে গেল ঢাকা টেস্টের ...
‘বিশ্বকাপে নেইমারই ব্রাজিলের বাজি’
- চলতি বছর ঘরের মাঠে ফিফা কনফেডারেশন কাপ নেইমারের জন্য একটা বড় পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় ‘জিপিএ ...
‘ড্রাগসের সঙ্গে আপস নয়’
- স্প্রিন্ট জগতে যখন নামি-দামি তারকাদের ডোপপাপের খবর বেরোয় তখন চমকে উঠতে হয় বৈকি! এই তো সেদিন ...
প্রথম ওয়ানডেতে সালমাদের হার
- দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল স্বাগতিকদের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে হেরে গেছে। বেনোনির ...
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ মানেই ম্যাজিক
- ব্যাপারটা শচীন বনাম লারার লড়াইয়ের মতোই দাঁড়িয়ে গেছে। কে সেরা-লারা নাকি শচীন। এ প্রশ্নে রায় এখনও ...