এই আমাদের বাংলাদেশ!

আর্ন্তজাতিক ভূ-রাজনীতির জটিল হিসাব নিকাশ বুঝিনা। বুঝতে চাইও না। দেশের রাজনীতির কথামালাও ইদানীং  আকৃষ্ট করেনা। তবে কাল সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনেছি। শুনেছি আজও। দেখছি এই ছবিটিও। গর্বহচ্ছে এই ভেবে, এটাই আমার বাংলাদেশ। অর্থ, শক্তি অনেক কিছুই হয়তো নেই আমাদের। কিন্তু আমাদের যা আছে মানবিকতা, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোরও তা নেই।  
একাত্তুরে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরুর পর, জীবন বাঁচাতে ঢাকা থেকে যে যেভাবে পালিয়ে যাবার লম্বা মিছিলে, সেদিন আমিও ছিলাম। শিশু ছিলাম বলেই দৌঁড়ে সবার সঙ্গে ছোটা সম্ভব হয়নি আমার। এক কাঁধে সুটকেস আরেক কাঁধে আমার ভর নিয়ে মামা উর্ধ্বশ্বাসে ছুটেছেন লাখো মানুষের মিছিলে। কত কিলোমিটার?  মানচিত্রের কোনদিক দিয়ে? হিসাব করারও সুযোগ ছিল না আতঙ্কে।  সবার চলার গতিপথ তো তখন এক।  রাতটাও কেটেছে কোন এক অপরিচিতি এলাকায়, ভয়ে জড়োসড়ো হাজারো মানুষের সঙ্গে। যেখানে শরীরের ব্যথায় কেউ চিৎকার করছেন। ভয়ে মূর্ছা যাচ্ছেন।  কী ভয়ঙ্কর সে রাত- এই বুঝি এলো হানাদাররা, ব্রাশ ফায়ারে নিভিয়ে দেবে জীবনের আলো। স্পষ্ট মনে আছে,  নিরস্ত্র এই সব মানুষকে রক্ষায় দুরে মুক্তিযোদ্ধারা জানবাজি রেখে পাহারা বসিয়েছিল । সেদিনের অবুঝ মনে খোদাই হয়ে থাকা স্মৃতি জীবন্ত হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার দীর্ঘ মিছিলে। সেদিনের শব্দগুলো আর এখনকার শব্দে খুব কি পার্থক্য আছে।
এই পৃথিবীতেও রোহিঙ্গাদের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। বিনা কারণে একটি পশু হত্যা নিয়েও যখন সোচ্চার  বিশ্বের সভ্যনামধারী দেশগুলো। তখনও তারা নিরস্ত্র মানুষের  এমন হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনা নিজেদের স্বার্থরক্ষায়। হায়রে মানবতাবোধ!
বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র। বাংলাদেশের হৃদয়  বিশাল। অভিবাদন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা গর্বিত।
সোমবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষের অন্ন সংস্থান হয়, আর ৪/৫ লাখ রোহিঙ্গার ভাতের সংস্থান করার শক্তিও বাংলাদেশের আছে। সত্যি গর্ব হচ্ছে, একাত্তুরে  প্রাণভয়ে পালিয়ে যাওয়া আমরাই দেশ জন্মের পঞ্চাশ বছর পূর্তির আগে  প্রতিবেশী দেশের নিরস্ত্র, অসহায় মানুষকে অন্তত প্রানে বাঁচার সুযোগ করে দিতে পারছি।  অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরকার-বিরোধী দলের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রশ্রয় কর্ম-কৌশল, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীদের মানবিকতা, আন্তরিকতার  প্রশ্নে অন্তত ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ আছে। যেটি বিশ্বে বাংলাদেশ এবং এর নাগরিকদের মর্যাদা অনেক বাড়াবে।

প্রথম আলো > রোহিঙ্গা নির্যাতনে জোলির উদ্বেগ

অ্যাঞ্জেলিনা জোলিমিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের হত্যা ও তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান ও ...

বাংলা ট্রিবিউন > সু চিকে মহাথেরো

মিয়ানমারে সভ্যতা বিবর্জিত হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সংঘনায়ক, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার ...

গল্পটা অন্যরকম

এক বছর বিরতির পর অভিনয়ে ফিরেই ব্যস্ত ফারহানা মিলি। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত মনপুরা ছবিতে ফারাহানা ...