এই সব দিন রাত্রির সেই টুনি
শহিদুল আজম:
টুনির মৃত্যু কেউ চায় নি। তাকে বাচাঁতে সারাদেশে প্রার্থনা হয়েছিলো। আবার প্রতিবাদও হয়েছিলো। হরতাল ডেকেছিলো কেউ কেউ। কিন্তু তবুও বাচাঁনো যায় নি। টুনির মৃত্যু শোকেই শেষ হয়েছিলো বিটিভির সর্বকালের জনপ্রিয় ধারাবাহিক এইসব দিনরাত্রি। এরপর ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু টুনির স্মৃতি এখনও বিস্মৃতি হয় নি। জনপ্রিয়তা কমেনি একটুও। এইসব দিনরাত্রি যাদের হৃদয়ে গেথেঁ আছে, মাঝে মাঝেই তারা টুনিকে খুঁজেন। টুনি চরিত্রে যে শিশু অভিনয় করেছিলো সেই লোপার হালফিল খবর জানতে চান। কিন্তু শিশু বয়েসে অসম্ভব জনপ্রিয় লোপা পরিণত বয়েসেও মিডিয়ায় নীরব একেবারেই। অবশ্য লোপা বলেছেন, এখন তিনি তিনি নীরব বৈকি। তবে ক’বছর আগেও র্যাম্পে দারুন দাপুটে ছিলেন। তবে নাটকের চরিত্র টুনির প্রতি সবার ভালোবাসার এ প্রগাঢ়তায় নিজেকে আলাদা করে আর পরিচিত করা হয় নি লোপার। পুরো নাম নায়ার আমিন লোপা । বললেন, এখনও যদি আফজাল আঙ্কেলকে ফোন করি, লোপা নামে না চিনলে যদি বলি আমি টুনি বলছি, সঙ্গে সঙ্গেই আদুরে জবাব পাওয়া যায়। কচি বয়েসে এক ধারাবাহিক নাটকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌছাঁনোটা যেমন প্রাপ্তি। তেমনি খ্যাতির বিড়ম্বনার মতো টুনির ওই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে গিয়ে অভিনয় জগতে তাকে অনেক হিসাব কষে এগুতে হয়। আর এই হিসাব নিকাশে এক সময় অভিনয় জগত থেকে দুরে সরে যান তিনি। এইসব দিনরাত্রি’র ছয়বছর বয়েসি টুনি চরিত্রে অভিনয় করা লোপা এখন দু’কণ্যা সন্তানের জননী। গুজরাটি স্বামী আর সংসার নিয়েই ব্যস্ত। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। মডেলিংও করেছেন খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানের। এরপরও মিডিয়ায় তিনি নীরব। মানবজমিনের অনুসন্ধানে লোপাকে পাওয়া গেলো আবার। বললেন, এইসব দিনরাত্রি নাটকের সেই স্মৃতি মনে হলে অন্যরকম শিহরণই অনুভব করি। মানুষের কি ভালোবাসাই না পেয়েছিলাম। টুনি চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি ৬ বছর বয়েসে। এই বয়েসী কাউকে দেখলে এমনিতেই মায়া মায়া লাগে। আর বছর ধরে চলা ধারাবাহিকের সমাপ্তি ঘটে যখন ছোট্ট সেই শিশুর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে। তখন আমার শৈশবের ওই চেহারাটা এইসব দিন রাত্রি’র দর্শকদের হৃদয়ে গেথেঁ গিয়েছিলো। স্মৃতি হাতড়ে লোপা বললেন, লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত টুনিকে মেরে ফেলা হবে এইসব দিন রাত্রি’র প্রথম ৬/৭ পর্বেই- সেটাই ছিলো পরিকল্পনা। কিন্তু ধারবাহিক নাটক শুরু হতে না হতেই টুনি চরিত্রের প্রতি দর্শকদের প্রচন্ড দুর্বলতা সৃষ্টি হয়। ততদিনে পত্রিকার মাধ্যমে তারা জেনেও যান টুনির মৃত্যু হচ্ছে। তাই তারা প্রতিবাদ করেন। হরতালও ডাকেন কেউ কেউ। নানাভাবে নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদ স্যারের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্ঠা করে দাবি তুলেন- এ চরিত্রটিকে মারা যাবে না। হুমায়ুন আহমেদ তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক। একদিন হলের ছাত্ররা তাকে হাউস অ্যারেষ্টের মতো করেই রাখলেন। তার স্ত্রী ও মেয়েকেও প্রতিবাদকারীদের সামনে পড়তে হয়েছে। অনেক ছাত্র কাগজে লিখে ইট দিয়ে পেচিঁয়ে হুমায়ুন স্যারের বাড়িতেও পাঠিয়েছে। হুমায়ুন স্যার যখন দেখলেন টুনি চরিত্রের প্রতি দর্শকদের দুর্বলতা বাড়ছে, তখন তিনি তাতে আরও আবেগ দিলেন। দর্শকদের মায়া বাড়ানোর উপাদান দিলেন। এ চরিত্রটিকে টেনে নিয়ে গেলেন একেবারেই শেষ পর্ব পর্যন্ত। লোপা বলেন, এই সব দিন রাত্রি আমার প্রথম অভিনীত ধারাবাহিক নাটক । তবে প্রথম অভিনীত নাটক ছিলো মাকড়সা। আফজাল হোসেনের রচনা নাসিরুদ্দিন ইউসুফের পরিচালনায় ওই নাটকে আমি আলী যাকের এবং শাহীন মাহমুদের কণ্যার চরিত্রে অভিনয় করি। প্রথম কোনও নাটকে সুযোগ পাওয়ার স্মৃতি এখনও উজ্জল। ৮৩’তে তিনি নাম লিখিয়েছিলাম বিটিভি’র নাচের অনুষ্ঠান রুমঝুম-এ। লায়লা হাসানের ক্লাশে ছিলাম সর্বকণিষ্ঠ। আফজাল হোসেন তার লেখা নাটকের ক্ষুদে অভিনেত্রী খুজঁতে সেই নাচের ক্লাশের সব শিক্ষার্থীকে ডেকেছিলেন। আমি সে দিন অনুপস্থিত ছিলাম। অন্য সবাইকে পরখ করে আফজাল আঙ্কেল লায়লা আন্টির কাছে জানতে চান- আর কেউ কি আছে? লায়লা আন্টি বলেন আমার ক্লাশের সবচেয়ে ছোট মেয়েটি আছে। আফজাল আঙ্কেল বলেন, তাহলে তাকেও ডাকুন। মা আমাকে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। আমাকে কমলাফুলি কমলা ফুলি ছড়াটি লেখা কাগজ দিয়ে পড়তে বলা হলো। আমি বললাম। ব্যস! সুযোগ হয়ে গেলো নাটকে। লোপা বলেন, বংশের প্রথম মেয়ে হিসেবে আমি অনেকটাই আহলাদি ছিলাম ছোটবেলায়। নাটকেও আমাকে সেই একই চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। তাই খুব একটা বেগ পেতে হয় নি। আমাকে আমার মতো করেই অভিনয় করার সুযোগ দেয়া হয়েছিলো। তাই চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম। এইসব দিনরাত্রিতে আমি বুলবুল আহমদ ও ডলি জহুরের আদুরে কন্যার চরিত্রে অভিনয় করি। মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনী নিয়েই নির্মিত হয়েছিলো জনপ্রিয় ওই ধারাবাহিক। পরিবারে আমিই ছিলাম প্রথম সন্তান। তাই সেখানেও আহলাদি ছিলাম। কচি বয়েস ছিলো। অভিনয় কিভাবে করতে হয় ভালো করে জানতামও না। খ্যাতিমান অভিনেতা- অভিনেত্রীরাই আমাকে চালিয়ে নিতেন। উৎসাহ দিতেন। দাদী চরিত্রে অভিনয় করেন দিলারা জামান। শুটিংয়ের সময় তিনি আমার জন্যে কিছু না কিছু নিয়ে আসতেন। খালি হাতে কখনই আসেন নি। কিছু না থাকলে মোয়া বানিয়ে নিয়ে আসতেন। বুলবুল আহমেদ নাটকে আমাকে গভীরভাবে আদর করতেন বলে বাসায় তার মেয়েরা ঈর্ষান্বিত হতো। বলতো, বাবা তোমাকে অন্য মেয়ে কেন বাবা বলবে? আর ডলি জহুর তখন ছিলেন নিঃসন্তান। ১১ বছর তার কোন বাচ্চা হয় নি। আমিই ছিলাম তার কণ্যা। তিনি আমাকে প্রচন্ড আদর করতেন। এ নাটকে অভিনয় করার পরের বছরই ডলি জহুর মা হন বাস্তবজীবনে। এই সব দিনরাত্রি’তে অভিনয় করার সময় কোন সপ্তাহের সাতদিনই নাটকের পাত্র-পাত্রীরা এক সঙ্গে কাটিয়েছি। যেমন তিনদিন রিহার্সাল। এরপর দু’দিন স্টুডিওতে শুটিং। একদিন আউটডোর। সেটে গেলে হুমায়ুন স্যার আমার গালে চড় দিতেন। নাটকের কাহিনীতে ছিলো, আসাদুজ্জামান নুর আমার গালে চড় মারবেন। আমি অনেকবার তার চড় খেয়েছি। ক্যামেরা অন করে তিনি চড় মারতেন ঠিকই। কিন্তু শুটিং শেষ হলে যেখানে চড় মেরেছেন ঠিক সেখানে চুমো খেতেন আসাদুজ্জামান নুর আঙ্কেল। বলতেন- খুব বেশি জোরে মেরেছি রে মা!
লোপা বলেন, এইসব দিনরাত্রি’র শেষ পর্বের আগের পর্বে আমি মারা গিয়েছি। তবে শেষ পর্বেও আমার উপস্থিতি ছিলো স্মৃতি হিসেবে। নাটকে আমার মৃত্যু মেনে নিতে পারেন নি অনেক দর্শক। বিশেষ করে ছোটরা। সে সময় অনেক বাচ্চাকে নিয়ে তার মা আমাদের বাসায় আসতেন। আমাকে দেখিয়ে বলতেন, দেখেছো ও বেচেঁ আছে।
এইসব দিনরাত্রি’র পরও আমি হুমায়ুন আহমেদের অযাত্রা ও অবসর নাটকে অভিনয় করি। দুটো নাটকেই মুল চরিত্র ছিলো চারটি করে। আমি তাতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। অবসরে পাত্র-পাত্রী ছিলেন আলী যাকের , ফেরদৌসী মজুমদার, সুমিতা দেবী ও আমি। আলী যাকের ও ফেরদৌসী মজুমদারের কন্যার চরিত্রে আমি অভিনয় করি। একই ভাবে অযাত্রায়ও মুল চরিত্রে ছিলেন চার জন- আবুল হায়াত, সারা যাকের, হুমায়ুন ফরিদী ও আমি। এ নাটকে আমি আবুল হায়াত ও সারা যাকেরের কণ্যার চরিত্রে অভিনয় করেছি। ওই নাটকে অভিনয় করার সময় প্রতিদিন কোলে করে আমাকে হায়াত আঙ্কেল সেটে নিয়ে যেতেন। আবার সেটের বাইরে নিয়ে আসতেন। তিনি সব সময় বলতেন আমার তিন কন্যা। এ নাটকগুলোও জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু ওই যে দর্শকদের হৃদয়ে টুনি নামে ঠাঁই হয়ে গেছি। তাই এগুলোর কথা অনেকেরই মনে নেই।
এবার হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার কাহিনী। লোপা বললেন, এই সব দিনরাত্রি’র শেষ দৃশ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেনে হাজির হয়েছিল তারিন। এরপর নতুন কুড়ি করে তারিন, ঈশিতারা হই চই ফেলে দেয়। অভিনয় অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমিও নতুন কুড়িতে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আসাদুজ্জামান নুর আঙ্কেল নিষেধ করেন। এই সব দিনরাত্রি’তে অভিনয় করেই তো সে সেরা হয়ে গেছে। আবার প্রতিযোগিতায় নেমে তাকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে হবে কেন? কাজেই এরপর আমি অনেক হিসাব কষেই এগুতে থাকি। তাছাড়া তখন তো টিভিতে শিশুদের অনেক অনুষ্ঠানও ছিলো না। বিকাল ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত স্টেশন চলতো। এ সময়ের মধ্যে অনেক অনুষ্ঠান। এরপরও ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর, একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে বিশেষ বিশেষ দিনের ছোটদের অনুষ্ঠানে আমি নিয়মিত উপস্থাপনা করি। ৯০ থেকে ৯৫ পর্যন্ত আমি মিডিয়া থেকে একেবারেই দুরে ছিলাম। এরপর পা দেই র্যাম্পে। মডেলিং জগতে আমরা মৌ-য়ের পরের ব্যাচের। তুপা ও আমি অনেক কাজ করেছি। কিন্তু ২০০৩ থেকে আমি এ অঙ্গন থেকেও দুরে। আমরা যখন র্যাম্পে ছিলাম তখন অনেক কিছুই বিবেচনায় ছিলো। মডেলের ন্যুনতম উচ্চতা ছিলো ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। আমরা মনে করতাম মডেলের কাজ পণ্য দৃষ্টি নন্দনভাবে উপস্থাপন করা। কিন্তু সময় পরিক্রমায় এ অঙ্গনের অবস্থা পাল্টাতে থাকলে আমি নীরব হয়ে যাই। আমি যখন যা-ই করেছি, সেটা মন থেকে। দারুনভাবে উপভোগও করেছি। যখনই দেখেছি এনজয় করতে পারছি না, সরে এসেছি।
লোপা বলেন, এইসব দিনরাত্রি’র শেষ পর্বের আগের পর্বে আমি মারা গিয়েছি। তবে শেষ পর্বেও আমার উপস্থিতি ছিলো স্মৃতি হিসেবে। নাটকে আমার মৃত্যু মেনে নিতে পারেন নি অনেক দর্শক। বিশেষ করে ছোটরা। সে সময় অনেক বাচ্চাকে নিয়ে তার মা আমাদের বাসায় আসতেন। আমাকে দেখিয়ে বলতেন, দেখেছো ও বেচেঁ আছে।
এইসব দিনরাত্রি’র পরও আমি হুমায়ুন আহমেদের অযাত্রা ও অবসর নাটকে অভিনয় করি। দুটো নাটকেই মুল চরিত্র ছিলো চারটি করে। আমি তাতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। অবসরে পাত্র-পাত্রী ছিলেন আলী যাকের , ফেরদৌসী মজুমদার, সুমিতা দেবী ও আমি। আলী যাকের ও ফেরদৌসী মজুমদারের কন্যার চরিত্রে আমি অভিনয় করি। একই ভাবে অযাত্রায়ও মুল চরিত্রে ছিলেন চার জন- আবুল হায়াত, সারা যাকের, হুমায়ুন ফরিদী ও আমি। এ নাটকে আমি আবুল হায়াত ও সারা যাকেরের কণ্যার চরিত্রে অভিনয় করেছি। ওই নাটকে অভিনয় করার সময় প্রতিদিন কোলে করে আমাকে হায়াত আঙ্কেল সেটে নিয়ে যেতেন। আবার সেটের বাইরে নিয়ে আসতেন। তিনি সব সময় বলতেন আমার তিন কন্যা। এ নাটকগুলোও জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু ওই যে দর্শকদের হৃদয়ে টুনি নামে ঠাঁই হয়ে গেছি। তাই এগুলোর কথা অনেকেরই মনে নেই।
এবার হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার কাহিনী। লোপা বললেন, এই সব দিনরাত্রি’র শেষ দৃশ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেনে হাজির হয়েছিল তারিন। এরপর নতুন কুড়ি করে তারিন, ঈশিতারা হই চই ফেলে দেয়। অভিনয় অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমিও নতুন কুড়িতে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আসাদুজ্জামান নুর আঙ্কেল নিষেধ করেন। এই সব দিনরাত্রি’তে অভিনয় করেই তো সে সেরা হয়ে গেছে। আবার প্রতিযোগিতায় নেমে তাকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে হবে কেন? কাজেই এরপর আমি অনেক হিসাব কষেই এগুতে থাকি। তাছাড়া তখন তো টিভিতে শিশুদের অনেক অনুষ্ঠানও ছিলো না। বিকাল ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত স্টেশন চলতো। এ সময়ের মধ্যে অনেক অনুষ্ঠান। এরপরও ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর, একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে বিশেষ বিশেষ দিনের ছোটদের অনুষ্ঠানে আমি নিয়মিত উপস্থাপনা করি। ৯০ থেকে ৯৫ পর্যন্ত আমি মিডিয়া থেকে একেবারেই দুরে ছিলাম। এরপর পা দেই র্যাম্পে। মডেলিং জগতে আমরা মৌ-য়ের পরের ব্যাচের। তুপা ও আমি অনেক কাজ করেছি। কিন্তু ২০০৩ থেকে আমি এ অঙ্গন থেকেও দুরে। আমরা যখন র্যাম্পে ছিলাম তখন অনেক কিছুই বিবেচনায় ছিলো। মডেলের ন্যুনতম উচ্চতা ছিলো ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। আমরা মনে করতাম মডেলের কাজ পণ্য দৃষ্টি নন্দনভাবে উপস্থাপন করা। কিন্তু সময় পরিক্রমায় এ অঙ্গনের অবস্থা পাল্টাতে থাকলে আমি নীরব হয়ে যাই। আমি যখন যা-ই করেছি, সেটা মন থেকে। দারুনভাবে উপভোগও করেছি। যখনই দেখেছি এনজয় করতে পারছি না, সরে এসেছি।