স্বপ্নের ই-মেইল, আবেগ এবং...

1393331038_groupphoto.jpg

সুইডেনের ছোট্ট একটি শহর কালমার। বাল্টিক সাগরের তীরে ছিমছাম, পরিচ্ছন্ন এ শহর। মানুষ নেই খুব একটা। আর থাকবেই বা কি করে। যেখানে পুরো দেশেই লোক সংখ্যা ৬০ লাখ। কালমারে আর কতোইবা লোক থাকবেন। তাই দিনের বেলা মানুষের উপস্থিতি, চলাচল নজরে এলেও সন্ধ্যার পর একেবারেই ফাঁকা। কখনো কখনো আধা ঘন্টায়ও রাস্তায় কোন লোক দেখা যায় না। সেই কালমারের ফারদার এডুকেশন অব জার্নালিস্ট (এফওজেও)’র খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। অবশ্যই সুইডিশরা এফওজেও’র উচ্চারণ করেন ফুয়ো বলে। বছর জুড়েই তাদের নানা বিষয়ে নানা ট্রেনিং- মিড ক্যারিয়ার থেকে জুনিয়র সংবাদকর্মীদের জন্যে।
ঘটনা ২০০০ সালের। এশিয়া, আফ্রিকা আর ল্যাটিন আমেরিকার কুড়ি সাংবাদিক আমন্ত্রিত হন ফুয়োর একটি সেমিনারে। সেই সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সৌভাগ্যবানদের একজন আমি। মাসব্যাপী সেমিনারের প্রথম দিনেই ইনস্ট্রাকটররা সবাইকে চমকে দিলেন। বললেন, এই প্রথম সেমিনারে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের ই-মেইল একাউন্ট রয়েছে। নিঃসন্দেহেই এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা! আরো বললেন, সেমিনারের জন্যে বাছাই করা প্রত্যেক সাংবাদিককেই আমরা বলেছিলাম ই-মেইল এড্রেস না থাকলে এখানে আসার পর করে দেবো। এর আর প্রয়োজন হয় নি। আগের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই ই-মেইল এড্রেস ছিল না। আমরা সেটা করে দিয়েছি।
হোয়াইট বোর্ড, কাগজ-পেন্সিল, রং আর তুুলি নিয়েই যতো কাজ এ সেমিনারে। সঙ্গে বক্তৃতা নানা বিষয়ে। আবার নিজেদের এ কাজ ভবিষ্যতেও ধরে রাখতে দেয়া হতো ওয়েব সংস্করণে। সকাল থেকে শেষ বিকাল পর্যন্ত ব্যস্ততা। ক্লান্তিতে নুইয়ে পড়তাম। কিন্তু দিনের কর্মসূচি শেষ না হতেই আমরা আবার উজ্জীবিত নতুনভাবে। কম্পিউটাররুমে আবার সবাই এক সঙ্গে। তখন ম্যাসেঞ্জার ছিল না। ই-মেইল আইডিতেই যোগাযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম একজন আরেকজনের সঙ্গে। ই-মেইল বার্তা লিখতে লিখতেই রাত যে কখন গভীর হয়ে যেতো সেটা কেউ বুঝতেই পারতাম না। তবে তখন মনে হয়েছে ইন্টারনেটের অগ্রযাত্রায় একদিন টিভিসেটও হারিয়ে যাবে। কম্পিউটারই হয়ে যাবে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু।
সেমিনারে অংশ নিলেও রিপোর্ট পাঠাতে কোনো বিধি নিষেধ ছিল না। জীবনে প্রথমবারের মতো সুইডেন গিয়েছি। পাঠককে তা জানাবো না- সে কি করে হয়। সেমিনারের ফাঁকে ফাঁকে নানা তথ্য সংগ্রহ করে আমি লিখতাম প্রতিদিনই। ইংরেজি অক্ষরেই বাংলা রিপোর্ট। আগে যেটিকে বলা হতো রোমান। এখন এসএমএসে এ ভাষাই চলছে। ঢাকায় ফিরে অবাকই হয়েছি পত্রিকা দেখে, আমার কোন শব্দই বিকৃত হয়নি। তখনকার দায়িত্বশীলরা বাহবা দিয়েছেন, বলেছেন ই-মেইল বার্তার কারণে লেখার কোন অংশেই অস্পষ্টতা ছিল না। ফ্যাক্সে অনেক সময় অনেক অক্ষর, শব্দ উদ্ধার করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। কেউ কেউ এও বললেন, যদি বাংলা ফন্ট ইন্সটল করতে পারতেন, তাহলে আরো মজা হতো। কম্পিউটারে ঢুকে সাইবার বিশ্বে কেবল হাবু ডুবু খাওয়া শিখেছি। ইংরেজিতে বাংলা রিপোর্ট লিখেছি- শিহরিত এতেই।
এক বছর আগে
১৯৯৯ সাল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের রণক্ষেত্রে। ক্রিকেটযোদ্ধা, দেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা উজ্জীবিত, শিহরিত। দেশের হাফ ডজনের বেশি সাংবাদিক পৌঁছে গেছি রণক্ষেত্রে। আমাদের উত্তেজনা কিংবা শিহরণও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের চেয়ে কম নয়। দেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের কৌতূহলের মাত্রাটা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা। পত্রিকা কর্তৃপক্ষের তাগিদও কম নয়। তাই, ইংল্যান্ডের সৌন্দর্য দেখে সময় কাটানোর মতো সুযোগ ছিল না। সকাল থেকে শুরু হতো ব্যস্ততা। গভীর রাত পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডায় কাজ করতাম। এরপর বাংলাদেশিদের রেঁস্তোরায় পেটপুরে খেতাম। যোগাযোগ, তথ্য সংগ্রহ কোন কিছুতেই সমস্যা ছিল না। সমস্যা একটাই- ফ্যাক্স যায় না। বিশ্বকাপের যেদিন উদ্বোধন হলো, কি যে কষ্ট হয়েছিল। মিডিয়া সেন্টারের ফ্যাক্সে ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যর্থ হয়ে রাস্তায় নামি। ফ্যাক্সের দোকান খুঁজতে গিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা। মনে হয়েছে, যোগাযোগের এ সব বিষয় ইংল্যান্ডের চেয়েও এদেশে অনেক সহজলভ্য। কোন কিছুতেই যখন সমাধান করতে পারিনি, শেষে অফিসে ফোন করে কাকুতি মিনতি জানিয়েছি- পাঠাচ্ছি তো, লাইন পাচ্ছি না। নগদ অনেক পাউন্ড খরচ করে তো টেলিফোনে এত রিপোর্ট পাঠানো সম্ভব নয়। পাঠাতে হবে ফ্যাক্সেই। কাজেই না গেলে বুকের ধরফরানি বাড়বে। কিন্তু বিকল্প নেই।

১৯৯৬’তে কুমিল্লায়
১৯৯৬ সাল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রিপোর্ট করতেই কুমিল্লায়। টানা পনের দিন থেকে ঘুরেছি এ থানা থেকে ওই থানা। যোগাযোগের পথ একেবারে সহজ নয়। যদিও প্রতি সরকারের আমলেই কুমিল্লার মন্ত্রী সংখ্যা কম নয়। সে তুলনায় উন্নতি আহামরি নয়। কখনো মোটরসাইকেলে, কখনো বাস কিংবা মিনিবাসে, রিকশায়, পায়ে হেঁটে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছি। অবশ্য এসব রিপোর্ট করতে যাওয়ার একটা আলাদা মজা আছে। ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ হয়। তাছাড়া প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী বলে কথা। আগাম জানান দিয়ে যাওয়ার তো সুযোগ নেই। পকেট থেকে কলম বের করে নোট বুকে লেখার আগ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারেন না- কে সংবাদকর্মী আর কে নয়।
অনুসন্ধানী রিপোর্টের ক্ষেত্রে নিজেকে লুকিয়ে রাখা গেলে বেশি তথ্য পাওয়া যায়- সিনিয়ররা আমাদের এ মন্ত্রেই উজ্জীবিত করেছিলেন। আর এ কারণেই আমরা নিজেদেরকে আড়ালে রেখেই তথ্য সংগ্রহের চেষ্ঠা করতাম। যাচাই বাছাই করতাম। নিজের পরিচয় দিয়ে দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে তথ্যের সত্যতা পরীক্ষা করতাম। ঢাকা থেকে মাত্র দু’ঘণ্টার বাসের রুট কুমিল্লা। অনেকেই বলে থাকেন- এইতো কাঁচপুর পেরুলেই কুমিল্লা দেখা যায়। কিন্তু এখান থেকেও ঢাকায় রিপোর্ট পাঠানো কষ্টসাধ্য।
আগে মফস্বল ডেস্কে যারা কাজ করতেন, তাদের কণ্ঠ বেশ উঁচু হতো। এর কারণ ছিল টেলিফোনেই তারা প্রতিনিধিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতেন। এনালগ যুগ ছিল। টেলিফোন লাইন পাওয়াটা যতো না কষ্টকর ছিল, এর চেয়ে বেশি কষ্টদায়ক ছিলো শব্দ বোঝা। ওই সময় প্রতিনিধি ফোন করে বলতেন, আমাকে একটু রিং ব্যাক করুন। উহু, টেলিফোনে ইঁদুর মারার রিপোর্ট দেয়ার কোন সুযোগ ছিল না। সেটি পাঠাতে হতো ডাকে। দু’প্রান্ত থেকেই চিৎকার চেঁচামেচি চলতো। আজকের ঘটনার রিপোর্ট অফিসে পৌঁছাতেই সময় লাগতো ৩ দিন। এরপর সম্পাদনা এবং ছাপাছাপির বিষয়।
’৯৬ সালে কুমিল্লায় আমার এসাইনমেন্ট ছিল দিনের রিপোর্ট দিনেই পাঠাতে হবে। রাত দিন পরিশ্রম করে এলাকায় গিয়ে না হয় তথ্য সংগ্রহ করলাম। কিন্তু সেটি অফিসে পাঠাবো কি করে? কুমিল্লার ডাকঘরে গিয়ে ফ্যাক্সের খোঁজ করলাম। বলা হলো- একটা মেশিন আছে সেখানে। কিন্তু অপারেটর নেই। নিয়োগ দেয়া হলে ফ্যাক্স চালু হবে। আপাতত আমার ব্যবহারের সুযোগ নেই। বিশাল কুমিল্লা শহরে আর কোথাও কোন ফ্যাক্স নেই। আছে টেলিফোন কারো কারো। তবে এতে এক নিঃশ্বাসে ঢাকায় কথা বলা যায় না। ঢাকা-কুমিল্লা সড়ক পথের চেয়ে খারাপ টেলিফোন যোগাযোগ। হ্যালো হ্যালো ... বলতেই লাইন কেটে যায়। কিন্তু আমি তো মরিয়া- দিনের খবর দিনেই পাঠাতে হবে। শেষে যোগাযোগ করলাম বাস কোম্পানির সঙ্গে। কুমিল্লা থেকে বিকালে তাদের শেষ বাসেই দিয়ে দেয়া হবে আমার রিপোর্ট। আর সাইকেল চালিয়ে ঢাকার বাস কাউন্টার থেকে আমার অফিস সহকারী সেটি সংগ্রহ করবেন। এতো কিছুর পরও একদিন আমার তরতাজা লেখা ছাপা হয়নি। কারণ অফিস সহকারী যখন সাইকেল চালিয়ে বাস কাউন্টারে পৌঁছেন, এর আগেই সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
মাত্র এক যুগ আগের এ ঘটনাগুলোই এখন হয়তো অনেকের বিশ্বাস হবে না। ভাবা যায় চার- পাঁচ যুগ আগে কি ঘটেছে? একজন সংবাদকর্মীকে কতোটাই না পরিশ্রম করতে হয়েছে? সেটা সে সময়ের শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকরাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে স্বীকার করতেই হবে- প্রযুক্তি পাল্টে দিয়েছে সব কিছু। এখন লাইন পাচ্ছি না, ফ্যাক্স যাচ্ছে না-বলার দিন আর নেই। ফ্যাক্সও হারিয়ে যাচ্ছে। অফিসে হাতে লেখা মানুষের সংখ্যা কমছে। ল্যাপটপ বাড়ছে এসাইনমেন্টে। হাতের মোবাইল ফোনটি হয়ে পড়েছে সব কাজের কাজী। মাইক্রোক্যাসেট রেকর্ডার বগলদাবা করে ছুটতে হচ্ছে না। এসএমএসের মাধ্যমে দ্রুতই ব্র্রেকিং নিউজটি দেয়া যাচ্ছে। কেউ কাউকে আড়াল করেও রাখতে পারছেন না। ফোন ধরতে না চাইলেও এসএমএস বার্তা তাকে পড়তেই হচ্ছে। অফিসেও আর রিপোর্টার খোঁজাখুঁজিতে হৈচৈ হচ্ছে না। যেখানেই যিনি থাকুন, সেখানেই তিনি চলমান রিপোর্টিংয়ে। আর সে কারণেই প্রশ্ন কেমন হবে আগামী শতকের সাংবাদিকতা?
অনুমান করা কষ্টকর নয়। সেটি যে দ্রুতগতির হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। বিশিষ্ট কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বিজয় কী বোর্ড চালুর দিনই বলেছিলেন- ভবিষ্যতে এমন এক কী বোর্ড আসবে, যখন কাউকে আর হাত চালাতে হবে না। এসাইনমেন্ট করে মুখ দিয়ে বললেই ছাপার অক্ষরে সেটি বেরিয়ে আসবে। প্রযুক্তির কল্যাণে পত্রিকা অফিসে অনেক বিভাগ ক্রমেই অপ্রয়োজনীয় হতে চলেছে। পেস্টিং ইতিহাস হয়ে যাচেছ। সামনেই যে প্রুফ রিডিং বিভাগ হাওয়া হয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর এ কারণে শুধু তথ্য অনুসন্ধান নয়, প্রযুক্তির নিত্য নতুন সংযোজন, বিয়োজনের প্রতিটি বিষয়ই জানা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে একজন সংবাদকর্মীর জন্যে। তবে বিজ্ঞান আর্শিবাদ না অভিশাপ বিতর্কের মতো প্রযুক্তি যেমন দ্রুত গতি দেয়, আবার এর সঙ্গে আলস্য ভর করার অনেক বিষয়ও রয়েছে। যেটা ইদানিং বেশ ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে। আগে এক্সক্লুসিভ বলতে বোঝা যেতো যে তথ্য আর কারো নেই। এখন সবাই সব কিছুতেই এক্সক্লুসিভ খুঁজেন। কোনটি ব্রেকিং নিউজ আর কোনটি নয়, সেটি খুঁজে পাওয়াও কস্টকর হয়ে যায়। প্রযুক্তি নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা চারদিকে। অনেক সময় ভালো করে খোঁজ খবর নেয়ার সুযোগ থাকে না। তবে ক্ষতিকর যেটি তাহলো ইন্টারনেট সাংবাদিকতা। আমার ই-মেইল এড্রেস মনে আছে? দোস্ত লিখে পাঠিয়ে দিয়ো- একই এসাইনমেন্ট শেষ করে চায়ের কাপে চুমুক দিতে গিয়ে ইদানিং খুব বেশি বলাবলি হয় এ কথা। এটা জানাজানিও হয়ে গেছে অফিসে বসে অনেকেই লিখতে পারেন না। অথচ ই-মেইলে পাঠান দারুণ রিপোর্ট। আবার অনেকে অফিসে এসে উসখুস করেন। বার বার ই-মেইল একাউন্টে যান। আর মোবাইলে ফোন করেন- কি রে পাঠালি না।
ডিজিটাল এ সময়ে ইন্টারনেট সাংবাদিকতার কল্যাণে একজনের স্ক্রিপ্ট হুবহু ছাপা হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন জনের নামে। শুধু কি তাই, হাল আমলের কনভার্টরে যে কোন ওয়েবসাইটে ঢুকে অন্যের লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেয়ার সুযোগও হচ্ছে। আর এ কারণে প্রযুক্তির উত্তরোত্তর পরিবর্তন যেমন যোগাযোগকে একেবারেই সহজ করে দিয়েছে। তেমনি ছলচাতুরি আর ফাঁকি দেয়ার কৌশলও শেখাচ্ছে কাউকে কাউকে। আর তাই এখন নাম না দেখে অনেক সময় বোঝা যায় না কোনটি কার লেখা। আগে রিপোর্টারের নাম ছাপানো সহজ ছিল না। তবে নাম না ছাপা হলেও সচেতন পাঠকরা ঠিকই খুঁজে বের করে ফেলতেন কোনটির লেখক কে। স্বকীয়তা ছিল। প্রত্যেকের লেখায় আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় আবেগ কেড়ে নেয়ার এ সময়ে বোধ হয় সেই স্বকীয়তা হারিয়ে যাচ্ছে। একটা রিপোর্ট সংগ্রহের যে এডভেঞ্চার আর পাঠনোর যে থ্রিল- সেটিও আর অনুভব করা যাচ্ছে না।

একটি মিডডে’র স্বপ্ন

কোন এক বিকালে হঠাৎই এসেছিল ফোনটা। অপরপ্রান্তে দৈনিক ভোরের কাগজের প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী। যিনি ইন্টারপার্লামেন্টারি ...

সাগরময় ঘোষের সেই সাক্ষাৎ

স্মৃতি রোমন্থনে আছে আলাদা একটা শিহরণ ।  পেছনের দিনগুলো কি কেবলই দীর্ঘশ্বাসের? না। তা নয়। যতো ...

এখনো মনে হয় সেই দিনের ঘটনা

এখনো মনে হয় সেই দিনের ঘটনা। আহ্ কী উত্তেজনাই না ছিলো আমাদের ভেতর। নতুন কিছু করা ...